আপনি কেন ফ্রিল্যান্সিং করবেন?

গত বছর লকডাউনের একটা ঘটনা। এক আপু ফেসবুকে আফসোস করে পোষ্ট দিয়েছিলেন। সারমর্ম হচ্ছে, তার পাশের বাসার এক আন্টি তার বাসায় এসে আবদার করেছে, তার ছেলেকে ১ মাসের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে দিতে হবে। কারন লকডাউনে কলেজ বন্ধ, ছেলেটা ঘরে বসে ফেসবুক, আর গেম খেলে, সময় নষ্ট করছে। ফ্রিল্যান্সার হলেত মাসে ইনকাম হাজার ডলার। সেই আপুর প্রশ্ন ছিল, পাশের বাসায় কোন ডাক্তার থাকলে, কোন আন্টী যেয়ে বলে না, বাবা আমার ছেলেটাকে একটু ডাক্তার বানিয়ে দাও, কোন ইঞ্জিনিয়ার থাকলে বলে না, ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে দাও, বিসিএস ক্যাডার প্রতিবেশীর কাছে, কেউ বায়না ধরে না, বাবা ছেলেটাকে বিসিএস ক্যাডার বানিয়ে দাও। কিন্তু যদি শোনে, পাশের বাসায় ফ্রিল্যান্সার আছে, তাহলে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তার প্রশ্ন ছিল ফ্রিল্যান্সার হওয়া কি এতই সহজ?
 
আমার মতে এই দেশের মানুষের মাথায় ঢুঁকে গেছে যে, একটা পিসি আর নেট লাইন থাকলেই সে ফ্রিল্যান্সার, ফলাফল ডলারের বর্ষণ। লকডাউনে অনেকের চাকরি চলে গেছে, অনেকেই অসহায় অবস্থায় দিন পার করছেন। তারা অনেকেই ফেসবুকে পোষ্ট দেন হেল্প চেয়ে। অবাক হয়ে দেখি, অনেকেই কমেন্টে তাদের পরামর্শ দেন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে। কোন হতাশ বেকার যুবক, ফেসবুকে হেল্প পোষ্ট দিলে, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবার পরামর্শ, পাবেনই পাবেন। হতাশগ্রস্থ, বেকার, চাকরিহীন, জীবনযুদ্ধে ফেল করা সবার গন্তব্য হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। আমি গত ৭ বছরে যাদের কাছ থেকে ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর অনুরোধ পেয়েছি, প্রায় সবাই এই শ্রেণীর লোক। আমার কথা হচ্ছে, যারা ইতিমধ্যেই জীবন যুদ্ধে পরাজিত এবং হতাশ, তারা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর মত চ্যালেঞ্জিং এবং প্রবল প্রতিযোগিতামূলক সেক্টরে কাজ করবেন। তাদের হেরে যাবার সম্ভবনাই বেশি।
 
যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন। তারা কি নিজেদের প্রশ্ন করেছেন, যে দুনিয়াতে এত কাজ থাকতে, কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন? আমার মনে হয় অধিকাংশেরই এই উত্তর জানা নেই। আমার মতে কারন আর কিছুই না, আমাদের দেশের ৯০% পাবলিকের ফ্রিল্যান্সিং এর পরিচয় হয়, ফ্রিল্যান্সার নামধারী কিছু ভন্ড ইউটিউবারদের দ্বারা। তারা লাইক ভিউ পাবার আশায়, এবং কোর্সের তাবিজ বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘরে বসে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে, হাজার ডলার ইনকামের লোভ দেখায়। ফলে টাকার লোভে পড়ে, আম জনতা সবাই এই সেক্টরে আসে। সেই সব ভণ্ডদের কোর্স করে। কোর্স করার পর বা আগেই মার্কেটপ্লেসে নেমে পড়ে। হয়ত ১/২ টা কাজ করে বা কেউ কাজই পায় না। এর পর হতাশ হয়ে এক সময় ছেড়ে দেয়। তবে এর ভিতর চালাক কিছু পাবলিক এই ফর্মুলা ফলো করে, তারাও কোর্স করানো শুরু করে দেয়। মার্কেটপ্লেস থেকে ৫ ডলার ইনকাম নেই, কিন্তু কোর্স করায় এমন পাবলিক, আপনার আশপাশেই প্রচুর পাবেন।
 
আপনি জেনে অবাক হবে যে এই দেশে ফ্রিল্যান্সারের খাতায় নাম লেখানো খুবই সোজা। প্রথমে ফাইভারে একটা একাউন্ট খুলে ফেলেন, গিগ দেন, যদি টেস্ট দিতে বলে, তবে কিছু টাকা খরচ করে, সেটা পাশ করিয়ে দেবার জন্য পাবলিক আছে। এর পরে রিভিউ বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৫/১০ ডলারের রিভিউ কিনে নেন। ব্যাস আপনি হয়ে গেলেন ফ্রিল্যান্সার। এর পরে সবার সামনে বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ান, আপনি ফ্রিল্যান্সার। কি পছন্দ হয়েছে আমার ফর্মুলা? কিছুদিন আগে এক রংমিস্ত্রিরির সাথে আলাপ হচ্ছিল, যার ফাইভারে একাউন্ট আছে। ভয়েতে আমি আর কথা বাড়াইনি।
 
এই দেশের তরুণদের জীবনের কোন লক্ষ্য নেই, ৭৫% গ্রাজুয়েট জানেই না যে, সে পাশ করার পরে কি করবে। ফলে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বিক্রেতাদের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে, তারা ফ্রিল্যান্সিংকেই জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলে। একটা গোপন বিষয় ফাঁস করে দেই। সেটা হচ্ছে আজ থেকে ৭/৮ বছর আগেও, বাংলায় এত কোর্স ছিল না। কারন তখন মার্কেটে প্রতিযোগিতা ছিল কম, একটু চেস্টা করলেই কাজ পাওয়া যেত। তাই তখনকার প্রফেশনালেরা চেস্টা করত, সব কিছু গোপন রাখতে। তারা নিজেদের প্রতিযোগী বাড়াতে চাইত না। আর এখন বাস্তবতা পুরা ভিন্ন। মার্কেটপ্লেসে বায়ারের থেকে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অনেক বেশি। সব কাজ ভাগ করে দিলেও, মাথাপিছু একটা কাজ সবার ভাগে পড়বে কিনা সন্দেহ। ফলে এখন সবাই উদার হয়ে গেছে, এখন সবাই কোর্স বানাতে ব্যাস্ত। এটা ইনকাম করার অন্যতম একটা মাধ্যম হয়ে গেছে। কারন ট্রেইনার নিজেই এখন কাজ তেমন পান না। ফলে এই অফুরন্ত সময় কোর্স বানানোর এবং নতুনদের মগজ ধলাইয়ের কাজে ব্যাবহার করছেন। যেমন আমি এত বড় পোষ্ট আপনাদের জন্য লিখছি। আমার হাতে কাজ থাকলে, নিশ্চয়ই এটা লিখতাম না 😀
 
এবার আসি ফ্রিল্যান্সিং এর বাস্তবতা নিয়ে। করোনাকালে আমাদের কঠিন বাস্তবতার সম্মুখিন করেছে। যে কাজ গুলো আগামি ৫/১০ বছর পরে হত, সেই কাজগুলো এখনই শুরু হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে সব কিছু AI (Artificial intelligence) এবং অটোমেশনের মাধ্যমে হবে। যেটার প্রয়োগ আমরা ইতিমধ্যেই দেখতে পাচ্ছি। নিজের একটা বাস্তব উদাহরণ দেই। আমি একটা কোম্পানিতে গত ৬ বছর ধরে কাজ করছি। আমি সেই টিমে সাথে Slack এর মাধ্যমে কাজ করি। কোম্পানির সবাই এর সাথে যুক্ত। আমাকে মেইন বায়ার একটা কাজ দিয়েছিল, প্রায় ১০০০ ছবির কাজ, এই কাজ অনেকে আগেই করেছিলাম এখন এগুলো সব PNG করতে হবে। অভাবের সময়ে বড় কাজ পাচ্ছি, সেই খুশিতে টীমের সবাইকে নিয়ে কাজ শুরু করে দেই। কয়েক দিন সবাই মিলে খাটুনির পরে কাজ জমা দেই। ওমা টিমের ডেপুটি বলে, এটার নাকি দরকার নেই। আমারত মাথায় হাত, মেইন বায়ারকে ধরলাম, সে বলল ডেপুটির সাথে কথা বলতে। ডেপুটি বলল, সে এই কাজ আমাকে করতে বলেনি। এর পরে আমি তার চ্যাট হিস্ট্রি ঘেটে বিশাল কাহিনী খুজে পাই। সেটা হচ্ছে, তারা কোন এক কোম্পানিকে এই কাজ আমার আগেই করতে দিয়েছি। তারা কোন এক AI টেকনলজি ইউজ করে, সেই কাজ মাত্র কয়েক ঘন্টায় ভাল ভাবে শেষ করে, ডেলিভারি দিয়ে দিয়েছে। এখান মেইন বায়ারের সাথে, তার কমুনিকেশন গ্যাপের কারনে, মাঝে আমার ফ্রিতে বেগার খাটা লাগল। আমি বুঝতে পারছি, খুব বেশি দিন হয়ত নেই, যখন তারা আমাকে না করে দেবে। এই ঘটনা আমাকে ফরিদুল ভাইয়ের (পুরাতন IPS বিক্রেতা, যাকে নিয়ে আমি পোষ্ট দিয়েছিলাম) কথা মনে করিয়ে দিল। গার্মেন্টস কোম্পানি রোবট কারটিং মেশিন নিয়ে আসাতে, তাদের ১৫ জন কারটিং মাস্টারের চাকরি এক সাথে চলে যায়। এটাই আসলে বাস্তবতা।
 
সামনের দিনের ফ্রিল্যান্সিং হবে আরও বেশি কঠিন। সেখানে প্রচন্ড স্কিল্ড এবং ক্রিয়েটীভ পারসনেরাই ভাল করবে। বলা হচ্ছে আগামী ৫ বছরের মধ্যে, নিজেকে রিস্কিল্ড না করতে পারলে, ৫০% মানুষ এই সেক্টর থেকে ঝড়ে পড়ে যাবে। আমি সংক্ষেপে আমার স্বল্প জ্ঞানে কিছু বলার চেস্টা করছি।
 
গ্রাফিক্সঃ
সাধারণ মানের গ্রাফিক্সের কাজ এখন বায়ারেরা সহজেই canvaর মত অনলাইন সফটওয়্যার দিয়ে করে নিচ্ছে। অনেকে জটিল জটিল গ্রাফিক্স এখন সহজেই placeit.net এর মত অনলাইন সফটওয়্যার দিয়ে করা যাচ্ছে। দিনে দিনে এই ধরণের সফটওয়ারগুলো আরও শক্তিশালী হচ্ছে। অনলাইন অনেক সফটওয়্যার দিয়ে সহজেই ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভের কাজ দ্রুত করে ফেলা যায়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা আগেই বলেছি। কাজেই খুব ভাল মানের দক্ষতা এবং ক্রিয়েটিভিটি না থাকলে ভবিষ্যতে, এই সেক্টরে টেকা মুশকিল হবে।
 
ওয়েব, ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ
ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এখন এত বেশি এডভান্স যে, বায়ারেরা সাধারণ ওয়েবের কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে চান না, আর করতে চাইলে অনেক কম রেট বলেন। এসব সাধারণ কাজ, নিজেরাই করে ফেলতে পারেন। বলা হচ্ছে এই সেক্টরেও হয়ত সামনে AI টেকনলজি চলে আসবে। অর্থাৎ আপনি আইডীয়া দেবেন, AI এর মাধ্যমে আঁটো কোড জেনারেট হবে। কাজেই আমি বলব কোডিং এর খুব ভাল দক্ষতা না থাকলে এবং ক্রিয়েটিভ আইডীয়া নিয়ে না আসতে পারলে টেকা মুশকিল হয়ে যাবে।
 
আরটিকেল রাইটিংঃ
এই সেক্টরেও এখন AI টেকনলজি ঢুকে পড়েছে। নিদ্দিস্ট কিছু কীওয়ার্ড এবং সেটিং দিয়ে দিলে, কয়েক ক্লিকেই আর্টিকেল লেখা হয়ে যাচ্ছে। word ai বা এই ধরণের বিভিন্ন সাইট এসব কাজ করছে। কিছু দিন আগে word Tune এর কথা বলেছিলাম। Ai টেকনলজি ইউজ করে, দিন দিন এরা আরও বেশি এডভান্স হচ্ছে। যদিও হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল রাইটারের চাহিদা আরও অনেকদিন থাকবে, তার পরেও সাধারণ রাইটারদের ভাতে ভাগ বসাতে খুব বেশি দেরি নেই।
 
SEO:
এই সেক্টরটা পুরটাই স্মার্ট পারসনদের দখলে চলে যাবে। কারন সার্চ ইঞ্জিনগুলো এখন এতটাই এডভান্স যে এরা এখন অনেকটাই হিউম্যানের মত বিহেভ করছে। গুগল ইতিমধ্যেই কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানাতে সফল হয়েছে। গুগল Neural Machine নামে একটা প্রোজেক্ট নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ করছে। এই প্রোগ্রাম নিজে থাকেই প্রোগ্রাম করতে পারে। অনেকটা মানুষের মত। কাজেই বুঝতে পারছেন এই ধরণের প্রযুক্তিকে ধরতে গেলে আপনাকে কিরকম স্মার্ট হতে হবে। কপি পেস্ট করে SEO করার দিন শেষ। শুধুমাত্র ক্রিয়েটিভ এবং স্মার্ট লোকদের জন্য এই সেক্টর।
 
ভয়েসওভারঃ
হুবহু মানুষের মত ভোকাল দিতে পারে এমন সফটঅয়ার অনেকে আগেই চলে এসেছে। এখন এতে AI টেকনলজি যুক্ত হতে যাচ্ছে। ডিপ ফেক ভিডিও বা ভয়েজ এখন নেটেই সহজ লভ্য। ফলে ভয়েসঅভার আর্টিস্টদের পেটে লাথি পড়তে বেশি দেরি নেই।
 
ডিজিটাল মারকেটীংঃ
বর্তমান সময়ের সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর। এই সেক্টরও অনেক বেশি এডভান্স হচ্ছে। যারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ এবং স্মার্ট তারাই এই সেক্টরে রাজত্ব করবে। অনেকে ধরণের আটমেশন সফটওয়্যার চলে এসেছে, তারা একটা মিডীয়া ম্যানেজারের কাজ করে। তাই এই সেক্টরে টিকতে হলে আপনাকে অনেক বেশি এডভান্স হতে হবে।
 
এভাবে আমি যদি সব সেক্টর ধরে ধরে আল্প করি, তাহলে পোষ্ট আরও অনেক বড় হবে। আর এটাও ঠিক যে, সব সেক্টেরের সম্পর্কে আমার সম্যক ধারনাও নেই। যা হোক মুল কথা হচ্ছে, কপি পেস্ট বা সাধারণ কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার দিন শীঘ্রই শেষ হতে চলছে। আমি বলব শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করে টিকে থাকার চিন্তা করলে, একটু ভেবে চিন্তে ভাল করে খোঁজ খবর নিয়ে, এর পরে এই সেক্টরে আসেন। একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের ইনকাম আর সাফল্যই শুধু আমরা দেখি, কিন্তু তার এই সফল হবার পিছিনের কাহিনী আমরা জানি না, বা দেখি না। তাই নতুনেরা বিভ্রান্ত হই। স্প্রিন্টার উসাইন বোল্টের গল্প বলতে পারি। তিনি ৯ টা অলিম্পিক গোল্ড মেডেল পেয়েছিলেন। এর জন্য তাকে সর্বসাকুলে মাত্র ১১৫ সেকেন্ড দৌড়াতে হয়েছিল। তার নিট ইনকাম সব মিলিয়ে, ১৯৯ মিলিয়ন ডলার ছিল। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে তার ইনকাম ছিল প্রায় ২ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই পর্যায়ে আসতে তার প্রায় ২০ বছর কঠোর সাধনা আর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। অথচ আমরা কিন্তু সেকেন্ডে কোটি টাকা ইনকামটাই দেখব।
 
আমার পোষ্ট এই পর্যন্ত পড়ে একজন নতুনের হতাশ হবারই কথা। আমি আসলে আপনার ভাল চাইছি, এইএ জন্য সাবধান করতে চাচ্ছি। কিছুদিন আগে একটা প্রতারনার কাহিনী জেনে খুব খারাপ লাগল। একজন SSCপড়ুয়া একজন ভন্ডের ভিডিও দেখে ফ্রিল্যান্সিং করবে বলে ঠিক করে। মা বাবাকে জোর করে ৫০ হাজার দিয়ে ল্যাপটপ কেনে। সেই ভন্ডের কোর্স করার পরে, মারকেটপ্লেসে এসে দেখে, সে যা শিখেছে তা দিয়ে আর যাই হোক ফ্রিল্যান্সিং সম্ভব না। সে প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়ে। এবং এক পর্যায়ে সে নেশা করা শুরু করে। এই ধরণের গল্প কেউ আপনাকে বলবে না। কিন্তু এমন প্রতারনার গল্প হাজার হাজার আছে।
 
এত কিছু জানার পরেও যদি, আপনার জেদ থাকে যে, আপনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। তবে বলব ফ্রিল্যান্সিং আপনারই জন্য। আমি শুধু সবাইকে বাস্তব বিষয়টা বুঝাতে চাইছি। আসলেই যদি ফ্রিল্যান্সিং করার ইচ্ছা থাকে, তবে বলব হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে, খুব ভাল করে নিজের স্কিল ডেভেলপ করেন। আশা করি আপনি ভাল করবেন। আমি নিজে প্রচন্ড আশাবাদী মানুষ। সহজে হতাশ হই না। কাজেই আপনাকে বলব হতাশ হবেন না। আল্লাহর দুনিয়া অনেক বড়। জীবিকার জন্য যে ফ্রিল্যান্সিং করতেই হবে এমন না। জীবিকার আরও হাজারো মাধ্যম আছে। সেগুলো ট্রাই করেন। সহজেই সফল হবেন। আর ফ্রিল্যান্সিংকে যদি জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে থাকেন, তবে আগে নিজেকে প্রশ্ন করেন, কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন? যদি দেখেন টাকার লোভে এই লাইনে এসেছেন, তবে দ্রুত এই লক্ষ্য ত্যাগ করুন। আর যদি আপনার অন্তর বলে, আপনি নিজের মেধা, ক্রিয়েটিভিটি দিয়ে স্বাধীনভাবে কিছু করতে চান, একটা স্বাধীন এবং মুক্ত জীবন উপভোগ করতে চান, তবে বলব ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য। লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই ইনশাল্লাহ।
 
ধন্যবাদ!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *