করোনায় ফ্রিল্যন্সারের করনীয়

করোনায় ফ্রিল্যন্সারের করনীয়

বেশ কিছুদিন আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে একটা সচেতনতা মূলক পোষ্ট  দিয়েছিলাম। তখন অনেকেই বিষয়টা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। অনেকে প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন বলে কমেন্টে জানিয়েছিলেন। আসলে এক হিসাবে তাঁদের মন্তব্য ঠিক ছিল। কারন তখন পর্যন্ত USA এবং ইউরোপে করোনা থাবা বসায়নি। আর কেনা জানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস পুরাপুরি নির্ভর করে USA এর উপর। এখন করোনা আমেরিকাতে হানা দেবার পরেই, আমরা ফ্রিল্যান্সারেরা করোনার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। বুঝতে পারছি সামনে কি পরিমান খারাপ পরিস্থিতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

আমরা বরাবরই উদাসিন জাতি। যখন সিরিয়াস হবার দরকার তখন সিরিয়াস হই না। এর পরে যখন আসল সময় আসে তখন হাঁয় হাঁয় করি। সরকার স্কুল কলেজ বন্ধ করার পরে, মা বাবারা সবাই বাচ্চাদের নিয়ে ট্যুর দিতে বের হয়েছেন। সি বিচ, পর্যটন কেন্দ্রগুলতে উপচে পড়া ভিড় ছিল। প্রবাসীরা দেশে এসে দিব্যি বিয়ে শাদী করেছেন, ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সারদের এসব মানায় না। কারন পেশাগত কারনেই, আমরা এমনিতেই আপডেট থাকি, বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হয়। ফলে আমারা অনেক বেশি সচেতন। এমনিতেই বছরে পর বছর ধরে, স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য, আমাদের পুরস্কার দেয়া উচিৎ। কাজেই বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা আমাদের জন্য কিছুই না।

বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং এর অবস্থা

এখন আসি আমাদের বায়ারেরা কেমন আছে, সেই ব্যাপারে একটু আলোচনা করি। ইউরোপের অবস্থা খুবই খারাপ, করোনার কেন্দ্র এখন ইউরোপ। বিশেষ করে ইটালি এবং স্পেনের অবস্থা ভয়াবহ। এত উন্নত স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা নিয়েও, তারা রীতিমত অসহায় হয়রে পড়েছে। সবাই ঘরে বন্দী, কেউ বাহিরে বের হলেই জরিমানা করা হচ্ছে। আমারিকার অবস্থাও ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পুরা USA লোক ডাউন হয়ে যাবে বলে মনে হয়। শেয়ার বাজার, ব্যাবসা বানিজ্যে রীতিমত ধবস নেমেছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে, অনেক দিন সময় লাগবে। বলা যায় পুরা বিশ্ব একটা মন্দার দারপ্রান্তে। বলাই বাহুল্য আমাদের বায়ারেরাও, একরকম গৃহবন্দি‍‍‍‍, তাদেরও ব্যাবসা কমে গেছে। ফলে মার্কেটপ্লেসে এর মারাত্মক প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। সিনিয়র ফ্রিল্যস্নারেরা বলছেন, জব পোষ্ট প্রায় ৫০% কমে গেছে। আর এর প্রধান ভুগভুগি হবে, যারা ছোট ফ্রিল্যান্সার। কারন তাঁদের রেগুলার বায়ার কম এবং লংটার্ম প্রজেক্ট খুব কম। এমনকি যারা দীর্ঘদিন ধরে বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করছে, অনেক বায়ার তাঁদের প্রজেক্ট হোল্ড করে দিচ্ছে। বলা যায় করোনা মহামারীর কারনে, সরাসরি ভুক্তভুগিদের একবারে শুরুর দিকে আছি আমরা। এই লেখা লেখার সময়, আমার বাচ্চাদের স্কুলের ঝালমুড়িওয়ালা মামার কথা মনে হচ্ছিল।স্কুল খোলা থাকা অবস্থায়, তার ব্যাবসা ছিল রমরমা, দম ফেলাবার ফুসরত ছিল না, মুখে সব সময় হাসি লেগে থাকত। এখন স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সে পড়েছে বিপাকে। একই জায়গায় দিনের পরে দিন ব্যাবসা করার অভ্যাসের কারনে, অন্যদিকে যেয়ে সুবিধা করতে পারছে না। তার ব্যাবসায় ভয়াবহ মন্দা। আমদের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে করতে, হঠাৎ এই ধরনের পরিস্থিতে পড়ে যাওয়ায়, আমারা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছি না, আমদের কি করনীয়। বলা হয়ে থাকে সমস্যার মধ্যেই থাকে সমাধান আর অনুপ্রেরণা। এই করোনার দুর্যোগের মধ্যেই, হয়ত আছে আমাদের ভবিষ্যৎ সাফল্যের সুপ্ত বীজ। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে, আলোচনার চেষ্টা করছি, দুর্যোগের এই সময়ে আমাদের করনীয় কি হতে পারে।

স্কিল ডেভেলপ করা

ফ্রিল্যান্সিংএ টিকে থাকতে হলে স্কিল ডেভেলপের বিকল্প কিছু নেই। নিজেকে প্রতিনিয়ত আপগ্রেড রাখতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ব্যাস্ততার কারনে বা আলসতার কারনে আমরা এদিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ি। আমি নিজেই গত ৫ বছরে নতুন তেমন কিছু শিখিনি, আপনাদের অবস্থা আশা করি এত খারাপ না। যেহেতু হাতে এখন বেশ সময় আছে, তাই আমি বলব, এই সময়টা স্কিল ডেভেলপের পিছনে বিনিয়োগ করার জন্য। প্রথমেই খাতায় লিখে ফেলেন, আপনার কি কি স্কিল আছে মানে যে বিষয়গুলো আপনি ভাল পারেন। এর পরে লিস্ট করেন, কি কি বিষয় শিখলে, আপনি আরও সামনে এগিয়ে যাবেন। এর পরে সেখান থেকে প্রায়োরিটি বেসিসে ১/২ টা বিষয় সিলেক্ট করেন। শেখার জন্য এখন রিসোর্সের কোন অভাব নেই। লিন্ডা আছে, ইউডেমি আছে, এমনকি ইউটিউবে এখন অনেক ভাল ভাল ভিডিও আছে। সগুলো নামিয়ে রুটিন করে শেখা শুরু করে দিন। একটা টাইমফ্রেম ঠিক করেন। এই সময়ের মধ্যে শেখা শেষ করতে পারলে, নিজেকে পুরস্কৃত করুন। আশা করি এই বিনিয়গের ফল দ্রুতই পাবেন।

বায়ারের সাথে রিলেশন বাড়ানো

প্রত্যেক প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সারের তার বায়ার ডাটাবেজ আপটূডেট থাকা উচিৎ। সেই লিস্টে রেগুলার, ইরেগুলার এবং ইনএকটিভ বায়ারের লিস্ট থাকা উচিৎ। ইরেগুলার এবং ইনএকটীভ বায়ারদের মেসেজ দিন। চেষ্টা করেন তাঁদের সাথে পুরতন সম্পর্ক ঝালাই করার। বিশেষ করে ঘরে বন্দী থেকে তারা অনেকেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। কাজেই তাঁদেরকে সহানুভূতি জানিয়ে, মেসেজ দিতে পারেন। দেখেবেন অনেকেই রিপ্লাই দেবে। তাঁদের কোন ভাবে হেল্প করতে পারেন কিনা দেখেন। দেখবেন এই সামান্য কাজগুলোই আপনাকে কতটা হেল্প করে সামানে এগিয়ে যেতে।

সিভি আপডেট করা

আপনার সিভি কি আপটুডেট আছে? এক্সপার্টেরা বলেন সিভি আপডেট রাখা একটা চলমান প্রক্রিয়া। তাই প্রতিনিয়ত সিভি আপ টু ডেট রাখতে হবে। নতুন কোন স্কিল বা  কোন অর্জন থাকলে, সাথে সাথে সিভিতে এড করতে হবে। কিছু দিন আগে একটা ভাল কজের অফার পেয়েছিলাম। সিভি চাইলে দেখি আমার সিভি রেডি নেই। আমি জানি আপনাদের অনেকেরই একই অবস্থা। আসলে আমাদের জীবনের প্রথম সিভি রেডি করে দেয় কম্পোজের দোকানদার। প্রফেশনালদের এটা মানায় না। তাই এই অবসরের সময়ে উচিৎ সিভি রেডি বা আপডেট করে ফেলা। সরাসরি বায়ারের সাথে কাজ করতে গেলে বা লিঙ্কডিনে কোন জব এপ্লাই করতে গেলে এই সিভি আপনার কাজে দেবে।

পোর্টফলিও আপডেট করা

অবসরের এই সময় আমারা আমাদের পোর্টফলিও গুলো আপডেট করে ফেলতে পারি। একজন ফ্রিল্যান্সের বড় শক্তি হচ্ছে তার পোর্টফলিও। পাশাপাশি নিজের সার্ভিস সাইট না থাকলে সেটাও রেডি করে ফেলা যেতে পারে। আর যদি সার্ভিস সাইট আগে থেকে থেকে, তাকে তবে, সেটা আপডেট করার কাজটা সেরে ফেলা উচিৎ। পাশাপাশি লিঙ্কডিনেনর প্রোফাইল আরও আপডেট এবং টারগেটেড কানেকশন বাড়ানোর কাজে সময় ব্যয় করতে পারেন। মোট কথা অনালাইনে আপনার শক্ত সবল, সর্ব উপস্থিতি নিশ্চিত করুন। এটা ভবিষ্যতে অনেক কাজে দেবে।

রিসার্চ করা

এই সময়টা রিসার্চের কাজে লাগাতে পারেন। করোনার এই বিপর্যয় এক দিন কাটিয়ে, বিশ্ব আবার নতুন করে জেগে উঠবে। নতুন কাজের সুনামি বয়ে যাবে। আল্লাহ যদি বাঁচিয়ে রাখেন, তবে সেই সময় কিভাবে কাজে লাগাবেন, সেটা নিয়ে রিসার্চ করতে পারেন। এর জন্য নিয়মিত ব্লগ পড়া এবং প্রফেশনালদের মতামত নিতে পারেন। আপনার ব্যাবসা আরও কিভাবে বাড়ানো যায়,আরও কিভাবে বেশি বেশি কাজ পেতে পারেন সেসব নিয়ে রিসার্চ করতে পারেন। আর কে না জানে সঠিক পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। এসব রিসার্চ একদিন কাজে আসবেই আসবে।

গোল রিভিশন করা

নতুন বছরে অনেকেই তার প্রফেশনাল গোল সেটাপ করেছিলেন। কিন্তু এই করোনার মহামারী হয়ত আপনার লক্ষ্য কিছুটা ব্যাহত করেছে। তার অর্থ এই না যে আপনি হাত পা গুটীয়ে বসে থাকবেন। আন্তমহাদেশিয় ব্যালেস্টিক মিসাইল বা ICBM  ছুড়ে মারার সময়, এর যে লক্ষ্য আছে, সেটা সেটআপ করে দেয়া থাকে। সে সামনে পাহাড় পর্বত, বিল্ডিং যেটাই থাকুক না কেন, সেটা এডিয়ে ঠিকই তার লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানে। আমাদের প্রফেশনাল লক্ষ্যটাও এমনই হওয়া উচিৎ। একজন ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে জন্মগত যোদ্ধা। কাজেই ভয় পাবার কিছুই নেই। নিজের গোল গুলো রিভিশন করুন।

সমাজ সেবা করা

দেশে দুর্যোগ ঘনিয়ে আসছে, বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায়, যারা গৃহহীন তারা সব থেকে বেশি বিপদে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদেরও দায়িত্ব আছে। আপনার আশপাশের গরীব প্রতিবেশীদের চাল, ডাল দিয়ে হেল্প করতে পারেন। ফ্রিতে মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করতে পারেন। যেহেতু এখন হাতে সময় আছে, তাই আপনার এলাকায় কোন সেচ্ছাসেবী সংগঠন যদি কাজ করে, তাঁদের সাথে মিলে কাজ করতে পারেন বা তদের ডোনেট করতে পারেন। এতে যেমন ভাল কাজের সাথে থাকতে পারবেন, তেমনি এলাকায় আপনার পরিচিতিও বাড়বে। আরও একটা কাজ করতে পারেন। সেটা হচ্ছে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারের উপরই যাকাত ফরজ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই যাকাত আদায় করেন। বিশেষ করে রমজানে আমারা যাকাত বেশি আদায় করি। তবে যাকাত কিন্তু আগাম দেয়া যায়। তাই চাইলে আপনিও আপনার যাকাতের টাকা এখন  চ্যারিটির কাজে লাগাতে পারেন। আমি ইতিমধ্যেই আগ্রিম আদায় শুরু করেছি। আল্লাহ আপনার রিজিকের বরকত অবশ্যই দেবেন।

ধর্মে কর্মে  মনোযোগ প্রদান

ব্যাস্ততার এই জীবনে আমরা অনেকেই আমাদের প্রভুকে ভুলে যাই। তার কাছে যে আবার ফিরে যেতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে সেটা অনেকেরই মনে থাকে না। দুর্যোগের এই সময়ে আমাদের উচিৎ ধর্মে কর্মে বেশি মনোযোগ দেয়া। আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন, আপনার ধর্মমত অনুযায়ী ধর্ম পালন করুন। আমারা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, তারা সবাই জানি, পবিত্র রমজান মাস আসতে খুব বেশি দেরি নেই। রমজানের প্রস্তুতিতে আমরা এই সময়টা কাজে লাগাতে পারি। যারা কুরআন পড়তে পারি, তারা নিয়ত করে ফেলি কোরআন খতম দেয়ার। যারা পড়তে পারি না, তারা চেষ্টা করি কোরআন শেখার। এতে লজ্জারও কিছু নেই। এখন অনেক এপস এবং চ্যানেল আছে বিশুদ্ধভাবে কোরআন শেখার। সেগুলো কাজে লাগাতে পারি। তবে সব থেকে ভাল হয়, আপনার বাসার আশপাশে যদি কোন মসজিদ বা মাদ্রাসা থাকে, তবে সেখানের ওস্তাদের কাছ থেকে শিখতে পারলে। শেখার কোন বয়স নেই। আমি কোরআন পড়া প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে গত পাঁচ মাসে, পাশের হাফেজি মাদ্রাসায় যাতায়াত করে, কোরআন বিশুদ্ধ ভাবে পড়া শিখেছি। ইচ্ছা আছে রমজানে খতম দেয়ার। দোয়ার দরখাস্ত রইল। আমি নিয়মিত সময় দিতে পারিনি এই জন্য এত সময় লেগেছে। আপনি যদি প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে সময় দিতে পারেন। বিশ্বাস করেন মাত্র দুই মাসেই বিশুদ্ধভাবে কোরআন শেখা সম্ভব। যারা ফ্রিল্যান্সার আছি তারা রাত্রি জাগরণের কারনে ইচ্ছা করলেই তাহাজ্জুত পড়তে পারি। যেটা পড়ার সৌভাগ্য বেশির ভাগ মানুষেরই হয় না। এই ব্যাপারের আমাদের মনোযোগ দেয়া উচিৎ।

শরীরের প্রতি খেয়াল দেয়া

অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সারই চরম অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করি। কিছু দিন আগে আমাদের এক ছোট ভাই মারা গিয়ে সেটা প্রমান করেছেন। অনেকেই ওজন বৃদ্ধি, ব্যাক পেইন, ব্লাড প্রেশার সহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এই অবসর সময়ে আমরা আমাদের শরীরের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে পারি। যারা ওজন বৃদ্ধি সমস্যায় ভুগছেন তারা Dr. Jahangir kabir  এর ডায়েট চার্ট ফলো করতে পারেন। অনেকেই এটা ফলো করে ওজন নিয়ন্ত্রনে এনেছে। পাশাপাশি ব্যায়াম করতে পারেন। যেহেতু এখন ঘরেই বেশির ভাগ সময় থাকতে হবে তাই ঘরে বসেই সহজে যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।

আত্মীয় স্বজনদের খোঁজ নেয়া

ব্যাস্ততার কারনে আমারা অনেক সময়ই আমাদের নিকটজনদের খোঁজ খবর নিতে পারি না। এই দুর্যোগের সময়ে সবার খোঁজ খবর নিতে পারেন। দরকার হলে একটা লিস্ট করে ফেলুন। এর পরে লিস্ট ধরে ধরে সবার খোঁজ নিন। দেখবেন আত্মীয়তার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। মনে রাখবেন যে সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না, সেই সম্পর্কে কখনো দেয়াল তুলবেন না। অথচ এই ভুলটাই আমারা বেশি করি।

পরিশিষ্ট

পরিশেষে এটাই বলব, যে মহামারী পরিস্থিতি আমারা প্রত্যক্ষ করছি সেটা অভুতপূর্ব। একমাত্র স্রস্টার করুনাই পারে আমাদের এই বিপদ থেকে মুক্ত করতে। তাই আসুন বেশি বেশি প্রভুকে স্মরণ করি। যার যার বাসায় অবস্থান করি। নিজে এবং নিজের পরিবারের প্রতি সর্বচ্চ খেয়াল দেই। আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হোন।

আমিন!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *