ফ্রিল্যন্সারের সামাজিক পরিচয় কি? আর আমি যেভাবে আমার স্বীকৃতি আদায় করেছি!

আমি কে? কি আমার পরিচয়?

আমি একজন ফ্রিল্যন্সার, সামান্য হলেও বৈদেশিক মুদ্রা, দেশে আনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কিছুটা ভূমিকা রাখছি। এই গর্বে গর্বিত হলেও আমার নিজের সামাজিক পরিচয় নিয়ে খুবই দ্বিধাদন্দে ছিলাম। আমি আসলে কে? কি আমার পরিচয়? আমরা যে দেশের জন্য কিছু করছি, সেই দেশ আমাদের স্বীকৃতির জন্য কি কিছু করছে? পেশার স্বীকৃত আদায়ের জন্য আমরা কি করতে পারি। এটা নিয়ে আমার এই লেখা।

নিজের কিছু বাজে অভিজ্ঞতা (২০১৮ সালের আগে)

১। গ্রামে থাকি, ওয়াজ মহফিলের চিঠি বাসায় এসেছে। খামের উপর আমার নামের নিচে পদবী হিসেবে “বিশিষ্ট সফটওয়্যার ব্যাবসায়ি”  লেখা,। আমি হাসব না কাঁদব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না  যদিও গত চার বছর ধরে সবাইকে বুঝাবার চেষ্টা করছি আমি কে কি করি । কিন্তু মনে হয় না কেউ বুঝবে।

২। ব্যাংক একাউন্ট করতে গিয়েছি। পেশা কি জিজ্ঞেস করতে, বললাম ফ্রিল্যন্সার। উত্তরে বলল এটা লেখা যাবে না। জিজ্ঞেস করলাম কি লিখব তাহলে। বলল ব্যবসায়ী লেখেন। সেটাই লিখলাম। কিছু করার নেই।

৩। পাসপোর্ট করতে যেয়েও একই অবস্থা। ফ্রিল্যন্সার লেখা যায় না। পরে ব্যাবসায়ি লিখলাম।

৪। পাত্রিপক্ষ বিয়ের কথা  পাকা করতে এসেছে এসেছে। আমাকে ধরে নিয়ে গেছে পাত্রের অভিভাবক হিসেবে। পাত্রি পক্ষে কলেজের শিক্ষক, সরকারী চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী রয়েছেন। পাত্র পক্ষে শুধু আমিই আছি। পরিচয় পর্বের শুরুতে তারা তাদের পরিচয় দিল। আমি কি করি জিজ্ঞেস করতে বললাম, ফ্রিল্যন্সিং করি, কি করি সবাইকে বুঝালাম। কেউ বুঝল বলে মনে হয় না। যদিও এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, এগুলো সবাই কম বেশি জানে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কেউ এগুলো ভাল করে বোঝার চেষ্টা করে না, আমাকে কেউ পাত্তাই দিল না, আলচনার এক ফাকে চুপ করে বেরিয়ে এলাম। আমি যে চলে এসেছি, সেটা কেউ খেয়ালই করল না। আসলে এই পেশার কোন দাম এখনো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি ভাল করে বুঝতে পেলাম। আরও অনেক সময় লাগবে আমাদের স্বীকৃতি আদায় করতে।

আরও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা

১।একজন ফ্রিলান্সার আমাকে তার দুঃখের কথা বলেছিল। বিয়ের বয়স হয়েছে পাত্রি দেখা চলছে। একজনকে পাত্রি হিসেবে পছন্দ হয়েছে। পাত্রির বাবা, ছেলে কি করে জিজ্ঞেস করল। ফ্রিল্যন্সিং করে বলা হল। কিন্তু তারা কিছুতেই ব্যাপারটা বুঝতে পারল না। পরে এক কোচিং সেন্টারের, এক শিক্ষকের সাথে সেই মেয়ের বিয়ে দিল। কিন্তু ফ্রিল্যন্সারের কাছে না। অথচ তার ইনাকাম মাসে লাখ টাকার উপরে।

২। পরিচিত এক ফ্রিলান্সার, গত এক বছর ধরে তার খুব ভাল ইনকাম। এবারের ঈদে প্রথম বারের মত তার সব আত্মীয় স্বজনের জন্য কেনাকাটা করেছে। প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি বাজার। সবাই খুব খুশি। ঢাকায় কি করে জিজ্ঞেস করতে, জানাল ফ্রিল্যন্সিং করে। ব্যাপারটা কেউ বুঝল না। আড়ালে বলাবলি করতে লাগল, সে আসলে ঢাকায় হেরোইন আর ইয়াবার ব্যাবসা করে। নাহলে রাতারাতি এই রকম ইনকাম কেমনে করে। এই কথা শুনে বেচারার মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

৩। আমার ছেলে স্কুলে পড়ে। তার বাবা কি করে জিজ্ঞেস করলে বলে ফ্রিল্যন্সার। কিন্তু কেউ বুঝে না। কম্পিউটারের কাজ করে বললে, মনে করে বাজারে ফ্লেক্সিলোড আর কম্পিউটার কম্পোজের কাজ করে । যদিও এখন আল্লাহর রহমতে সেই সমস্যা নেই। বিস্তারিত নিচে বলছি!

৪। আমাকে একজন ইনকাম ট্যাক্স বিশেষজ্ঞ জিজ্ঞেস করল ইনকাম ট্যাক্স দেই কিনা? আমি বললাম ফরেন রেমিটেন্সের জন্য ইনকাম টাক্স হয় না। সে বলল ভুল কথা। ফ্রিল্যন্সারদের ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে। কারন ফরেন রেমিটেন্স ইনকাম করতে হলে বিদেশ অবস্থান করতে হবে এটাই নাকি শর্ত। আমরা যেহেতু দেশে থাকি তাই এটা রেমিটেন্স হিসেবে গণ্য হবে না। যেমন শ্রমিক ভাইয়েরা বিদেশে থাকে। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে তাহলে পোশাক খাত কিভাবে ফরেন রেমিটেন্স আনে? কারন তারা কিন্তু দেশে বসেই ইনকাম করে। উত্তর আপনারাই দিন।

৫। একজন ব্যাঙ্কে গিয়েছে ডলার আনতে পারছে না এটা সমধানের জন্য। কোথায় কাজ করে বলার পর বলল একাউন্ট নেম আর পাসওয়ার্ড দিতে হবে। কেন জিজ্ঞাস করতে বলল তারা চেক করে দেখবে আসলেই দলার ইনকাম হয় কিনা। এখন আপনারাই বুঝেন অবস্থা। একজন ফ্রিল্যন্সারের একাউন্ট নেম আর পাসওয়ার্ড দেয়া আর বউকে অন্যের কাছে দিয়ে দেয়া সমান কথা। সে রাজি হয়নি, কাজও হয়নি, আসলে এই রকম গল্প বলে শেষ করা যাবে না।

তাহলে আমার পেশার পরিচয় কি?

এখন আমার প্রশ্ন হল। আমার পেশার কি পরিচয়? আমি সমাজে আমাকে কি হিসেবে পরিচয় দেব? জানি আপনারা অনেকেই নিজের মত অনেক রকম ব্যাখা দেবেন। কে কি ব্যাখা দিল সেটা তার ব্যাপার। আসল কথা হচ্ছে সমাজ কি মনে করল সেটাই আসল। অনেকি বলতে পারেন আপনি যা করেন সেটাই বলবেন, যেমন গ্রাফিক ডিজাইনার, ওয়েব প্রগ্রামার, কন্টেন্ট রাইটার, মার্কেটার, ব্লগার ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার কথা হাচ্ছে যে দেশের মানুষ অনলাইন পেশার মত সাধারণ একটা বিষয় বোঝেনা, তারা এই ধরনের কঠিন কঠিন টার্মস আরও বুঝবে না। অনেকইত ভুল বুঝবে। যেমন কেউ যদি নিজেকে একজন ব্লগার হিসেবে পরিচয় দেয়, তবে তার খবর আছে। সমাজের চোখে সে নাস্তিক। ব্লগার এখন আমাদের দেশে সবথেকে ঘৃণিত একটা শব্দ। বাস্তবতা হচ্ছে সমাজ আমাদের পেশার কোন স্বীকৃতি দেয় না। একজন ফ্রিল্যন্সারের থেকে, ১৫ হাজার টাকা বেতনের একজন চতুর্থ শ্রেণীর সরকারী কর্মচারীর হাজার গুন দাম আছে এই সমাজে। বিয়ে করতে গেলেই ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়ে যাবে। ডলারের স্ক্রিনসট দিয়ে, বায়ারের ফিডব্যাক দিয়ে নিজেকে বিরাট কিছু মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সমাজের কাছে এর কোন মূল্য নেই। আপনি ৫০ হাজার টাকা ইনাকাম করে নিজেকে বিরাট কিছু মনে করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হল এখন মোড়ের ফুচকা ওয়ালা, চা ওয়ালাও মাসে আপনার থেকে বেশি ইনকাম করে। আমাদের এলাকার এক সুইপার নাকি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে। কাজেই টাকা ইনকাম সম্মানের মানদণ্ড হতে পারে না।

আমার মতে এখন পেপালের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের সামাজিক স্বীকৃতি আদায় করা। জানি না সবাই আমার সাথে একমত কিনা। শুনেছিলাম সরকার আমাদের জন ডিজিটাল স্মার্ট কার্ড দেবে। জানি না এটার এখন কি অবস্থা। পেপাল নিয়ে যে তেলাসমাতি কিছুদিন পর পর  তাতে আর ভরসা পাই না। শুনলাম ফ্রিল্যন্সারদের নিয়ে একটা সংগঠন হয়েছে। আশা করি এই বিষয়ে তারা কিছু করবে। আমার নিজের মেয়ে যখন বড় হবে, তার বিয়ে দিতে গেলে পাত্র পক্ষকে, আমার পেশা কি বলব এটা নিয়ে আমার প্রায়য়ই টেনশন হত। মানে গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।  কিন্তু আমি আমার নিজের পরিচয় তৈরি করতে পেরেছি। কাজেই এটা নিয়ে এখন টেনশন করি না। কিভাবে সেটা করেছি তার বর্ণনা দিচ্ছি।

আমি যেভাবে আমার পরিচয় তৈরি করেছি

আমি নিজের মত করে একটার সমাধান বের করেছি। আমার প্লান ছিল নিজের একটা সাজনো গোছানো অফিস হবে। সেখানে কিছু এমপ্লয়ি থাকবে। ৯টা-৫টা অফিস হবে। অফিসের নাম থাকবে। মাঝে মাঝে লোকজন দেখা করতে আসবে। চা কফি খেতে দেব। সর্বপরি বলতে পারব, আমি এই কোম্পানির মালিক। একটা সামাজিক স্বীকৃতি পাব অন্তত। বিশ্বাস করেন ২০১৮ সালের আগে, ফ্রিল্যন্সিং থেকে এটাই এখন আমার কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারন আমি গ্রামে থাকি, আর গ্রমে পেশার স্বীকৃতি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস! এটা না পেলে এখানে আপনার ফুটো পয়সা দাম নেই। প্রায় চার বছর ঘরে বসে কাজ করেছি, মানুষ কি করি জিজ্ঞেস করলে, বলেছি ফ্রিলান্সিং করি, বিদেশি বায়ারের কাজ করি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি। পিছনে অনেক আজে বাজে কথা শুনেছি। মন খারাপ হয়েছে। কিছু বলতে পারিনি।

২০১৮ সালে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে যাত্রা শুরু করি। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি,  শুরুতেই বাড়ির পাশেই সুন্দর একটা ফ্লাট বাসা পেয়ে যাই। গ্রাম বলে ভাড়াও অনেক সস্তা। ২০১৮ জানুয়ারিতে আমার নিজের প্রতিষ্ঠান RAI Technologys (RAITEC) এর যাত্রা শুরু হয়।  প্রতি মাসে অল্প অল্প করে অফিস ডেকারেশন সাজিয়েছি আর পিসি কিনেছি। ২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে মোটামুটি অফিসের সব কাজ শেষ করি। সুন্দর অফিস ডেকারেশনের পাশাপাশি, বর্তমানে আমারদের অফিসে ১২ টা পিসি আছে।  আলাদা রিসিপশন রুম আছে, ভিজিটরদের বসার ব্যাবস্থা আছে। চা কফির পাশাপাশি ফিল্টার পানির ব্যাবস্থা আছে। আইপিএ এর মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুতের বাবস্থা আছে। আর সাথে আছে ১০ MPBS এর হাই স্পিড ইন্টারনেট, চাইলে আরও বাড়ানো যাবে। অর্থাৎ একটা অফিস সেটাপের, সব ধরনের সর্বাধুনিক ব্যাবস্থা আমাদের আছে। এখন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা  আমাদের অফিসে প্রায়ই আসে। কোন গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করার জন্য আমাদের অফিসের রিসিপশন সবার জন্য ওপেন করা আছে। কারণটা আর কিছুই না, যেন আমাদের প্রচার হয়, আমরা কি করি সবাই যেন সেটা জানতে পারে। ফলে অনেকেই অফিসে এসে আলাপ আলোচনা করে, মিটিং করে এমন কি পাত্র পাত্রী দেখার কাজও আমাদের অফিসে হয়েছে। অফিস দেয়ার পর থেকে দেখেছি এলাকায় সবাই আমাকে চেনে। বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়মিত দাওয়াত পাই। বিশেষ করে এলাকার কোন বিয়ের দাওয়াত এখন আমার মিস হয় না। ২০১৮ সালের আগে, নিকট আত্মীয় স্বজন ছাড়া, কোন বিয়ের দাওয়াত পেয়েছি বলে মনে পড়ে না।  এলাকায় এখন আমাকে অনেকেই ফলো করে, আইকন হিসেবে মানে।  আমার সামাজিক পরিচয় নিয়ে এখন আর কোন হীনমন্যতায় ভুগি না। কেউ এক ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে বলি, আমার নিজের কোম্পানি আছে, বিদেশি বায়ারের কাজ করি, অফিসের ঠিকানা দিয়ে চায়ের দাওয়াত দেই, সবাই খুশি হয়।

কিছু অর্জনঃ

  • ২০১৮ সালে এলাকার ১২ জন বেকার যুবক যুবতীকে বেসিক কম্পিউটিং, এবং গ্রাফিক্সের উপর ছয় মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ দেই।
  • ২০১৮ সালে মোট ০৬ জনেক আমাদের অফিসে কাজের ব্যাবস্থা করি।
  • ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজ্য দিবস উপলক্ষে এলাকায় বড় একটা সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। প্রায় চারশত দর্শকের উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফল ভাবে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। ইচ্ছা আছে প্রতি বছর এটা করার।
  • ২০১৯ সালে নিজেদের সার্ভিস সাইটের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সাইটের এসিও এবং মার্কেটিং এর কাজ চলছে। ইচ্ছা আছে মার্কেটপ্লেস থেকে বের হয়ে বায়ারের সাথে সরাসরি কাজ করার।
  • ২০১৯ সালে আরও ০৮ জন যুবক যুবতীকে বিনামুল্যে বেসিক কম্পিউটিং, এবং গ্রাফিক্সের উপর প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। বর্তমানে তাদের প্রশিক্ষণ চলছে।
  • এলাকায় কিছু মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আমাদের কোম্পানির পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
  • বর্তমানে আমাদের অফিসে আমরা ইকমারস ইমেজ প্রসেসিং এর কাজ করি। প্রতিদিন ১০০০+ ছবির কাজ করার ফ্যাসিলিটি আছে। যদিও খুব অল্প পরিমানে কাজ এখন পাচ্ছি। দোয়া করবেন যেন কাজের পরিমান বাড়াতে পারি।
  • শুনতে হাসকর মনে হলেও, আমার অফিসের দুই মেয়ে এমপ্লয়ির, ভাল যায়গায় বিয়ে হয়েছে, আমাদের অফিসে জব করে এই পরিচয়ের কারনে। এজন্য আমি গর্বিত।
  • ইচ্ছা আছে এই বছর অফিসকে আরও বড় করার এবং এলাকার আরও বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান করার। সবার দোয়াপ্রার্থী!

পরিশিষ্টঃ

আমাদের এই সমাজে কেউ কাউকে জায়গা এমনিতে দেয়া না। নিজের জায়গা নিজের করে নিতে হয়। আমাদের পেশার পরিচয় দেয় না বলে, বসে থেকে হা হুতাশ করা বোকামি। নিজের  পরিচিয় নিজেকেই তৈরি করে নিতে হবে। যেমনটা আমি করেছি। আমি এখন নিজেকে একজন ফ্রিলান্সার এই পরচয়ে আবদ্ধ রাখতে চাই না। আমি এখন এর থেকে বেশি কিছু, আমি এখন একজন এন্টারপ্রেনুয়ার বা উদ্যোগতা, যে  নিজের পাশাপাশি দেশ ও সমাজের সেবা করে। এটাই আমার এখন মূল পরিচিয়।

তবে কিছু কথা থাকে। সবাইকেই যে আমার এই স্টাইল ফলো করতে হবে এমন নয়। বেশিরভাগ ফ্রিলান্সার তাদের পেশার পরচিয় নিয়ে মাথা ঘামায় না , কে কি বলল তাতে তাদের যায় আসে না। তাদের বড় কোন সপ্ন নেই, নিজে নিজে কাজ করে, মটামুটি ইনকাম হচ্ছে এতেই তারা সন্তুষ্ট। আমার মতে তাদের আমার এই স্টাইল ফলো করার কোন দরকার নেই। কারন একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করানো কি পরিমান কষ্টের, সেটা গত দেড় বছরে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। কাজেই চ্যালেঞ্জ নেয়ার যোগ্যতা না থাকলে বা সাহস না থাকলে এই পথে পা না বাড়ানই ভাল।  তবে কারো যদি বড় কোন স্বপ্ন থাকে, যদি ইচ্ছা থাকে বড় কিছু করার, দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করার তবে বলব এখনই সময় শুরু করে দেয়ার। আমার পক্ষ থেকে যদি কোন ধরনের পরামর্শের দরকার হয়,  তবে তার জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত আছি। নির্দ্বিধায় আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমার এই লেখা পড়ে ১/২ জন মানুষও যদি কোন দিক নির্দেশনা পান তবে এই লেখা ধন্য!

সবাই ভাল থাকবেন।ধন্যবাদ!

Similar Posts