Fiverr Gig Ranking Factors 2020

মজার একটা গল্প শেয়ার করি। একজন প্রবাসি বাংলাদেশি আইটি বিশেষজ্ঞ ইন্ডিয়াতে গিয়েছে একটা কনফারেন্সে এটেন্ড করার জন্য। সে উবারে উঠেছে এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাবার জন্য। তার কাছে চালককে অনেক স্মার্ট এবং শিক্ষিত মনে হল। কুশল বিনিময়ের পর, শিক্ষাগত যোগ্যতা জিজ্ঞেস করলে বলল, সে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। যেহতু প্রবাসি বাংলাদেশিওঁ আইটি সেক্টরের লোক, তাই চালকের সাথে আলাপ জমতে বেশি সময় লাগল না। জানা গেল উবার চলক জাভা প্রোগ্রামিংএ বিশেষ দক্ষ।

প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, কেন সে উবার চালাচ্ছে, যেখানে ভাল চাকরি করতে পারত? তার উত্তর হল, চাকরি থেকে অনেক বেশি ইনকাম, সে উবার থেকে করে। অন্যান্য রাইডারের থেকে তার ট্রিপ পাবার চান্স অনেক বেশি, আর ইনকামও বেশি। কারন উবার Python, Node.js, দিয়ে তৈরি, সাথে আছে জাভা। এগুলো সে অনেক ভাল জানে। সে নাকি উবারের এলগরিদম কিভাবে কাজ করে, সেটা মোটামুটি ধরে ফেলেছে। ফলে তার ট্রিপ অনেক, আর ইনকামও প্রচুর। যেটা চাকরি করে সম্ভব হত না। কারন ভারতে আইটি স্পেশালিষ্ট অনেক, ফলে শুরুতে ভাল বেতন পাওয়া অনেক কষ্টকর। কাজেই সে উবারে ট্যাক্সি চালিয়ে বেশ ভাল আছে। স্বাধীন পেশা, কোন ঝামেলা নেই। সময় পেলেই গাড়ির ভিতরে বসেই ল্যাপটপে সে নিজের মনের আনন্দে কোডিং করে। তার ইচ্ছা একদিন গুগল বা মাইক্রোসফটে জয়েন করার। গল্প এখানেই শেষ! বাস্তবতা হচ্ছে কোন সাইট বা সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে, এর কিছু অংশও যদি কেউ জানতে পারে, তবে তার সফল হতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না। আসলে যারা SEO এক্সপার্ট তাদের কাজই হচ্ছে এটা।

Fiverr এর এলগরিদম

বর্তমানে Fiverr এর যে ভার্সন চলছে এটার সার্চইঞ্জিন পুরাপুরি গুগলের মত কাজ করে। গুগলের যেমন নিজস্ব এলগোরিদম (কিছু নিয়মনীতি) আছে। তেমনি Fiverr এরও নিজস্ব এলগোরিদম (নিয়মনীতি) আছে যা সবার থেকে আলাদা, এটা পুরাপুরি ডায়নামিক এবং প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হচ্ছে। একজন ইউজারের বিহেবিয়ারের উপর ভিত্তি করে সে রাজাল্ট দেখাতে পারে। Fiverr Gig Ranking Factor এর এই এলগোরিদম এখন ধরা অনেক কঠিন ব্যাপার। বিশেষ করে আমার মত যারা আমজনতা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব। তবে যারা SEO নিয়ে কাজ করেন এবং Fiverr নিয়ে ভাল স্টাডি করেন তারা কিছুটা আঁচ করতে পারবেন।

গুগলের যেমন ২০০+ রাঙ্কিং ফ্যাক্টর আছে, যেটা তারা কখনোই কারো সাথে শেয়ার করে না। ঠিক তেমনি ভাবেও Fiverr তাদের এই Gig Ranking Factor এলগোরিদম কখনোই শেয়ার করে না। ফাইবারের গিগ এলগোরিদম এখন পুরাপুরি ডায়নামিক।  অর্থাৎ এটা বিভিন্ন কন্ডিশনের উপর ভিত্তি করে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। এই ডায়নামিক এলগোরিদমই ঠিক করে একটা গিগ কোথায় অবস্থান করবে, কেমন করবে। ফলে আমরা দেখি একটা গিগ ভাল করছে, কিন্তু সেটা কিছু দিন পরে সামনের পেজ থেকে অনেক পিছনে চলে গেছে। নিচের স্ক্রিনশট লক্ষ্য করুন। এই গিগটা আপাত কোন কারন ছাড়াই হঠাৎ করেই ক্লিক ভিউ বেড়ে গিয়েছিল। এবং প্রচুর অর্ডার আসছিল। কিন্তু কিছুদিন পার আবার আগের পর্যায়ে চলে গেছে। আজ থেকে ২/৩ বছর আগেও এটা ছিল না। তখন একটা গিগ রাঙ্ক করলে সেটা মোটামুটি একই জায়গায় অবস্থান করত। এতে পেজের সামনের দিকের গিগ গুলো খুব ভাল সেল পেত। ফলে তখন নতুনদের জন্য ভাল করা কিছুটা কঠিন ছিল। তবে এখন নতুনদের জন্য ভাল করা তুলনামূলক ভাবে সহজ। তবে এর জন্য আপনার গিগ অবশ্যই ভাল প্রফেশনাল মানের হতে হবে। ফাইবারের এলগোরিদম নিয়ে বিভিন্ন লেখা পড়ে এবং নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে প্রধান প্রধান, গিগ রাঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো আলোচনা করছি।

মোট অর্ডারের সংখ্যা

গিগ র‍্যাঙ্কিং এর সব থেকে বড় ফ্যাক্টর বলা যেতে পারে একে। আপনার গিগের কিউতে যত বেশি অর্ডার জমা থাকবে আপনার গিগ তত সামনের দিকে থাকবে। গিগের অর্ডার কম আসলে গিগ আস্তে আস্তে পিছনের দিকে চলে যাবে। অর্ডারের সংখ্যা  সম্ভবত মাসিক হিসাব করা হয়, লাইফটাইম না। খেয়াল করে দেখবেন যে সব গিগে প্রচুর পরিমানে অর্ডার জমা আছে তারা সমানদের দিকে থাকে। অনেক ভাবেই গিগের কিউতে অর্ডার বেশি বেশি জমা রাখা যায়। এটা নিয়ে সামনের কোন লেখায় আলাপ করব।  

ক্লিক ভিউ এর মোট সংখ্যা

আপনার গিগের কি পরিমান ক্লিক ভিউ হচ্ছে এটার উপর গিগের র‍্যাঙ্ক অনেকাংশে নির্ভর করে। আপনার গিগে যদি বেশি বেশি ভিজিটর আসে, বেশি সময় ধরে থাকে এবং তারা যদি গিগে বেশি বেশি ক্লিক করে তবে গিগ র‍্যাঙ্ক করতে সুবিধা হয়। এই জন্য নতুন গিগ পাবলিশ করার পর গিগ মার্কেটিং এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ঠিক মত গিগ প্রমোশন করতে পারলে, গিগে ভাল ক্লিক ভিউ আসবে এবং অর্ডার পেতে সহজ হবে। তবে মনে রাখতে হবে গিগ মারকেটীং এর নামে কোন মতেই স্পামিং করা যাবে না। এতে হিতে বিপরীত হবে।

কনভার্সন রেট

কনভার্সন রেট বলতে আমরা বুঝি, আপনার গিগে ক্লিক ভিউর অনুপাতে, অর্ডারের মোট সংখ্যা। যেমন আপনার গিগে জন্য ১০০ টা ক্লিক পড়ে এবং তাতে যদি ৫ টা অর্ডার হয় তবে আপনার গিগের কনভার্সন রেট ৫% এটা যত বেশি হবে, আপনার গিগ তত ভাল করবে। সাধারণত ৫+ এর উপর কনভার্সন রেট থাকলে সেটাকে ভাল ধরা হয়। এখন Fiverr এ যেটা হয়, বিশেষ করে নতুনেরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর স্পামিং করে গিগে ক্লিক ভিউ নিয়ে আসে। কিন্তু সেই অনুপাতে কোন সেল হয় না। মনে রাখতে হবে এটা গিগের জন্য খুব ক্ষতিকর। কারন প্রচুর ভিজিটর আসল কিন্তু সেল আসল না, তাহলে Fiverr এর লস। কারন তাদেরকে সার্ভারের জন্য পে করতে হয়। তাই স্পামিং বাদ দিয়ে গিগ ভাল করে মার্কেটিং করতে হবে। কি ভাবে গিগ মার্কেটিং করতে হয় সেটা নিয়ে সামনে কোন লেখায় আলাপ করা যাবে।

রেটিং

গিগে যদি ভাল রেটিং থাকে তবে সেই গিগ ভাল করবে। মনে রাখতে হবে বায়ার যখন কোন সেলারকে রেটিং দেয়, তখন আরেকটা হিডেন রেটিং দেয় যেটা সেলার দেখতে পায় না। এটাও গিগের রাঙ্কিং এ ভাল প্রভাব রাখে। তাই চেষ্টা করতে হবে বায়ারকে পুরাপুরি সন্তুষ্ট রাখতে হবে। আর ভুলেও বায়ারকের কাছে ভাল রেটিং বা স্পেসিফিক কোন রেটীং চাওয়া যাবে না। নতুন রুলসে এটা পুরাপুরি নিষেধ। নতুন গিগ রিভিউ সিস্টেম জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।

লেভেল
গিগ ব্যাঙ্কিং এ সেলারের লেভেল নিয়ে কিঞ্চিত বিতর্ক আছে। যদিও Fiverr বলে যে একজন নতুন সেলারের থেকে লেভেল-২ সেলার ৪ গুনেরও বেশি ট্রাফিক পায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় একজন টপ রেটেড সেলারও নতুন গিগ দেয়ার পরেও গিগে অর্ডার পাচ্ছে না। মজার ব্যাপার হচ্ছে লেভেল পাবার পরে, অনেকের অর্ডার কম পাবার অভিজ্ঞতা হতে পারে। এর মানে লেভেল পাবার পরে গিগের রাঙ্কিং কিছুটা ডাউন হয়। তবে এটা সাময়িক এবং কিছু দিন পরে আবার অর্ডার আসা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ব্যাক্তিগত মত হচ্ছে, সেলারের লেভেল গিগ রাঙ্কিং এ কিছুটা হলেও ভুমিকা রাখে।‍‍‍‍ 

রেসপন্স রেট এবং রেসপন্স টাইম

Fiverr Gig Ranking করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। একজন বায়ার কোন সেলারকে কাজের জন্য মেসেজ দিল এবং সেই সেলার কোন উত্তরই দিল না, এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। আপনি নিজেকে বায়ারের জায়গায় কল্পনা করলে বিষয়টা বুঝতে পারবেন। Fiverr এটা খুবই অপছন্দ করে। দ্রুত এবং সময় মত রেসপন্স না করলে আপনার রেসপন্স রেট কমতে থাকবে এবং টাইম বাড়তে থাকবে। ফলে গিগের র‍্যাঙ্ক চলে যেতে পারে। এই জন্য আপনার স্মার্ট ফোনে Fiver এর এপস ইন্সটল রাখুন এবং বায়ারের মেসেজের উত্তর দ্রুত দিন। চেষ্টা করতে হবে ১ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দেয়ার। বায়ার মেসেজ পাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিতে পারলে অর্ডার পাবার সম্ভবনা ৫০% বাড়ে।

অন টাইম ডেলিভারি

ডেলিভারি টাইমের আগেই অর্ডার ডেলিভারি দেয়া Fiverr খুব পছন্দ করে। এই জন্য অবশ্যই নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দিতে হবে। ১২ ঘণ্টা আগে তারা একটা ওয়ার্নিং মেসেজ দেয় কাজ ডেলিভারি দেয়ার। তাই ধারণা করা হয়, নিদিষ্ট সময়ের ১২ ঘণ্টা আগে কাজ ডেলিভারি দিলে গিগ আরো ভাল করে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দিতে না পারলে বায়ারকে মেসেজ দেবেন সময় বাড়াবার জন্য। বায়ার সময় বাড়িয়ে দেবে। তবে এটাকে অভ্যসে পরিনত করা যাবে না। কারন এতেও আপনার গিগের রাঙ্কিং ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ঘন ঘন সময় বাড়ানো লাগলে ভাল হয় গিগের ডেলিভারি টাইম বাড়িয়ে দিন।

সেলারের এক্টীভিটি

Fiverr যে সেলার রেগুলার কাজ করে তাকে পছন্দ করে। যে সেলার ঘন ঘন লিভ নেয় তাকে পছন্দ করে না। কাজেই চেষ্টা করতে হবে রেগুলার কাজ করার। “Out of Office” বলে একটা অপশন আছে, লম্বা সময়ের জন্য  কোন ছুটি লাগলে সেটা অন করার জন্য Fiverr আপনাকে বলবে। কিন্তু এর থেকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত আর হতে পারে না। কারন এটা চালু করলে, আপনার গিগের রাঙ্ক হারাতে পারে। এমনকি সেই গিগ আর নাও ভাল করতে পারে। বিদেশ ভ্রমণের জন্য আমি প্রায় দেড় মাস ভ্যাকেশনে ছিলাম। ছুটি থেকে আসার পরে বেষ্ট সেলিং গিগের সেই রাঙ্ক আর ফেরত পাইনি এবং গিগের সেল মারাত্মক ভাবে কমে যায়।

তাই সব থেকে ভাল হয় গিগের ডেলিভারি টাইম বাড়িয়ে দিলে। এপস এর মাধ্যমে বায়ারের সাথে যোগাযোগ করবেন। আশা করা যায় আপনার গিগের কোন ক্ষতি হবে না।  

Keyword

Fiverr Gig Ranking এর সব থেকে বড় Factor এই Keywod, Fiverr  এর Gig Ranking Factor অনেকটা গুগলের মতই কাজ করে। যেমন আপনার গিগ যদি Miinimalist Logo এর উপর হয়, তবে আপনার গিগের টাইটেলে অবশ্যই এই কিওয়ারড একবার থাকতে হবে। গিগ ডেসক্রিপশনের প্রথম প্যারায় ১/২ বার থাকতে হবে এবং ক্যাপিটাল লেটারে হতে হবে। তবে মেইন Keyword ডেসক্রিপশনে অবশ্যই ২% এর বেশি ইউজ করা যাবে না। তা না হলে Fiverr এর রোবট এটাকে স্পাম হিসেবে ডিটেক্ট করবে এবং গিগের রায়ঙ্ক নাও দিতে পারে।

গিগের নিচে যে ৫টা ফিচারড Keywords আছে সগুলো খুব সাবধানে দিতে হবে। অবশ্যই প্রথমটা মেইন Keyword হতে হবে। বাকী চারটা মেইন Keyword এর রিলেভেন্স হতে হবে। তাই ভাল হয় বেষ্ট সেলিং গিগ গুলোর Keyword থেকে ভাল ভাল Keyword বাছাই করা। সামনের কোন লেখায় কিভাবে গিগ রাঙ্ক করতে হয় এটা নিয়ে আলাপ করব।

Order Completion  Rate

 

বায়ার অর্ডার করলে সেটা অবশ্যই ভাল ভাবে শেষ করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে অর্ডার কান্সেল না করতে। বেশি বেশি অর্ডার কান্সেল করলে আপনার Order Completion  Rate কমে যাবে, গিগের রাঙ্ক চলে যেতে পারে।এমনকি অর্ডার বেশি বেশি ক্যান্সেল করার কারনে একাউন্ট ব্যান পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই ব্যাপারে সাবধান।

ওয়ার্নিং

 

ওয়ার্নিং পাওয়া এখন Fiverr সেলারেরদের জন্য রীতিমত আতংকের নাম। কোন কারনে যদি ওয়ার্নিং পান তবে আপনার গিগের রাঙ্কিং চলে যেতে পারে। এবং সেই রাঙ্কিং আবার ফেরত আসতে সময় লাগতে পারে। তাই চেষ্টা করতে হবে ভাল মত সার্ভিস দিতে এবং Fiverr এর নিয়ম কানুন ভাল করে মেনে চলতে, যেন কোন মতেই ওয়ার্নিং না দেয়।

সেলিং প্রাইস

এটা এখন Fiverr Gig Ranking Factor এর অন্যতম বড় ফ্যাক্টর। এক সময় Fiverr ছিল ৫ ডলারের মার্কেপ্লেস, এই বদনাম থেকে বের হবার জন্য তারা আপ্রান চেষ্টা করছে। তারা এখন ৫ ডলারের সেলারদের পছন্দ করে না। তাই যে গিগের সেলিং প্রাইস যত বেশি তত বেশি চান্স থাকে গিগ রাঙ্ক করার। আমি নিজে আমার গিগে পরীক্ষা করে এর প্রমান পেয়েছি।

আইডি ভেরিফিকেশন

ইদানীং Fiverr বেশি বেশি আইডি ভেরিফিকেসশন করছে। বিশেষ করে নতুন প্রোফাইলে ভেরিফিকেশন বেশি চাচ্ছে। ভেরিফিকেশন নোটিশ আসার পরে ১৪ দিন সময় দেয় ভেরিফাই করার। অনেকেই তাড়াহুড়া করে ভেরিফিকেশন করতে যেয়ে ভুল করেন। পর পর তিন বার ভুল করলে একাউন্ট রেস্ট্রিক্ট করে দেয়। একাউন্ট রেস্ট্রিক্ট হলে, বায়ার কোন অর্ডার প্লেস করতে পারে না। কোন বায়ারের যোগাযোগ করতে  পারে না। গিগ গুলো পজ হয়ে থাকে এবং সার্চ থেকে হারিয়ে যায়। পরে সাপোর্টে যোগাযোগ করলে আবার সুযোগ দেয় ভেরিফাই করার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে একাউন্ট একবার রেস্ট্রিক্স হলে যা ক্ষতি হবার হয়ে যায়। আপনার গিগের রাঙ্ক চলে যেতে পারে। একাউন্ট ফেরত পাওয়ার পরে গিগ ডিলিট হগে গেছে এমন ঘটনাও আছে। কাজেই এই ব্যাপারে সাবধান। একানুট কিভাবে ভেরিফাই করার উপার আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন।  

এমাউন্ট অফ ফেভারিট

আপনার গিগের উপরে ডানদিকে একটা বাটন দেখতে পাবেন যেখানে কত জন আপনার গিগ ফেভারিট করেছে তা উল্লেখ থাকে। যত বেশি পরিমান ফেভারিট থাকবে ততই গিগের জন্য ভাল। তবে এটা এমন নয় যে আপনার গিগে অনেক ফেভারিট থাকলেই গিগ ভাল করবে। এখন মুলত যেটা হয় বিভিন্ন গ্রুপ আছে যেখানে সেলারেরা নিজেদের মধ্যে ফেভারিট আদান প্রদান করে। মনে রাখতে হবে এসব করে কোন লাভ নেই। কারন বেশি বেশি সেলার ফেভারিট করলে সেটা Fiverr মুলত স্পাম হিসাবে ধরে এবং এটা গিগের জন্য ক্ষতিকর। তবে বেশি বেশি বায়ার প্রোফাইল থেকে গিগ ফেভারিট হলে গিগের জন্য ভাল। তাই এসবের দিকে না তাখিয়ে গিগকে খুব আকর্ষণীয় হিসাবে প্রস্তুত করতে হবে। গিগে অডিও ভিডিও এড করতে হবে। তাহলে এমনিতেই গিগ ফেফারিট হতে থাকবে।

অথোরিটি

Fiverr Gig Ranking Factor এর  খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাঙ্কিং একটা ফ্যাক্টর। যে গিগ যত বেশি সময় ধরে Fiverr এ থাকবে এবং ভাল সার্ভিস দেবে, সেটা তত ভাল করতে থাকবে। Fiverr দেখে কোন গিগ কত দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছে এবং টোটাল অর্ডারের সংখ্যা কত এবং টোটাল ভেলু কত। এটাকেই আমরা অথোরিটি বলতে পারি। যে গিগের অথোরিটি যত ভাল সেই গিগ তত ভাল করতে থাকবে।

আর প্রোফাইলেরওঁ একটা অথোরিটি থাকে। তারা একটা প্রোফাইলের সব গিগ এবং সেলারের এক্টীভিটীর উপর যাচাই করে এটা নির্ধারণ করে থাকে। দেখবেন যারা অনেক দিন ধরে Fiverr এ কাজ করছে তাদের সেল পেতে খুব একটা সময় লাগে না।

পরিশিষ্ট

গুগলের অনেক রাঙ্কিং ফ্যাক্টর যেমন আমরা জানি না, ঠিক তেমনি ভাবে Fiverr Gig Ranking Factor  এর সব গুলো আমরা জানি না। তবে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে মুলত এগুলোই হচ্ছে মেইন Fiverr Gig Ranking Factor । তাই সময় পেলে বেশি বেশি Fiverr ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে, এবং কম্পিটিটর দের এক্তিভিটি বেশি বেশি খেয়াল করতে হবে। আর Fiverr ফোরাম এবং Fiverr বিষয়ক ব্লগ আরটিকেলগুলো বেশি বেশি পড়তে হবে। নিজেকে সব সময় আপডেট থাকতে হবে। 

আপনি যদি মনে করেন এই ফাক্টোরগুলোর বাইয়েও আরও ফ্যাক্টর বাদ পড়ে গেছে, তবে সেগুলো কমেন্টে জানান। আমি লেখার সাথে এড করে দেব।
সবাই ভাল থাকবেন।
 
ধন্যবাদ!

Similar Posts