ঘরে বসে অনলাইনে ২ ঘন্টায়, আড়াই লক্ষ টাকা ইনকামের মেথড

আপনাদের প্রবল আগ্রহ দেখে এই বিষয়ের উপর লিখতে বসছি। এটা আসলে অনেক পুরাতন পরিক্ষিত একটা মেথড, এটা আপনি কাজে লাগাবেন কি লাগাবেন না, সেটা একান্ত আপনার নীতি নৈতিকতার উপর নির্ভর করছে। আমি শুধু কাহিনীটা বর্ণনা করব। তাহলে শুরু করা যাক। গত মাসের শেষের দিকে আমার আগের চাকরী একজন বড় ভাই, কলিগ এবং বন্ধু আমাকে কল দিয়েছিল। উনার সাথে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, অপরিচিত ঢাকা শহরে যখন চাকরীর জন্য প্রথম আসি, তখন তিনিই আমাকে আগলে রেখেছিলেন। বিপদে আপদে সব সময় পাশে থেকেছেন। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা আজীবন থাকবে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লাতে একটা স্বনামধন্য ফারমাসিউটীক্যাল কোম্পানিতে মার্কেটিং এর বড় একটা পদে আছেন। সেলসের চাকরীর নিয়ম হচ্ছে, আপনি যত বড় পদেই থাকেন না কেন, সেলস যদি ভাল হয়, কোম্পানি আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে। আর সেলস খারাপ হলে, রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে এক মুহূর্ত দেরি করবে না।


মাঝে তিনি কয়েকবার আমার সাথে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কথা বলেছেন। আমি বুঝতে পেরেছি উনার সেলস খারাপ যাচ্ছে, না হলে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি কেন আগ্রহ দেখাবেন। এখন ৪৫+ বছর বয়সের একজনকে আর যাই হোক ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ব্যাপারে উৎসাহ দিতে পারি না। যেখানে তার সেলসে চাকরীর বয়স ২০ বছরের উপর। যা হোক সেদিন কল দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে তার কিছু প্রশ্ন আছে, আমি জবাব দেব কিনা, কিছুটা বিরক্ত হলেও, আমি রাজি হলাম। তিনি বলা শুরু করলেন, আচ্ছা মোবাইল দিয়ে নিজের কাজের ফাঁকে ফাঁকে, দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা কাজ করে প্রতিদিন ২০০-৫০০ টাকা ইনকাম করা যায় কিনা? আমি যা বুঝার বুঝে ফেললাম। তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি কাহিনী ঘটেছে সেটা সরাসরি ভাল করে খুলে বলেন। তিনি কাহিনী বলা শুরু করলেন, এবং যে কাহিনী আমি শুনলাম তাতে, সেই ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না।


সেদিন ঢাকায় তাদের হেড অফিসে, মাসিক সেলস মিটীং ছিল। সেলস খারাপ হওয়াতে যথারীতি তার উপর প্রচুর মেন্টাল টর্চার গিয়েছে। মেজাজ খুবই খারাপ, চাকরীর প্রতি ঘেন্না ধরে গেছে। মিটীং শেষ করে, বেচারা কুমিল্লার বাসে উঠেছে। বাসে বসে মোবাইল টিপাটিপি করতে করতে, একটা এড বা পোষ্ট চোখে পড়ল। এডের কথা অনেকটা এমন,
আপনি কি বেকার ঘুরে বেরাচ্ছেন ??? আপনি কি বেকার যুবক যুবতী, Student? আপনি কি পড়াশোনার পাশাপাশি কোনো Part time কাজ করতে চান ???.আপনি কি গৃহবধু, ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে আয় করতে চান ??? আপনি কি আপনার অফিসের বেতনে সন্তুষ্ট নন, অতিরিক্ত আয় করতে চান ???দৈনিক পেমেন্ট পাবেন ৩০০-৪০০ টাকা আর প্রতি মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ এবং তা আপনি সরাসরি বিকাশ, রকেট, এবং নগদের মাধ্যমে নিতে পারবেন।


যারা এই কাজটা করতে আগ্রহী তারা ইনবক্সে মেসেজ করুন, আপনাদের জন্য একটা ফ্রি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।


বেচারা চিন্তা করছে, সারাদিনত মোবাইল টিপাটিপিই করি। যদি দিনে মাত্র ২ ঘন্টা সময় দিয়ে, মাসে ১৫ হাজার কামানো যায়, তাহলে এই বাড়তি ইনকাম হলে মন্দ কি। তাই বাসে বসে থাকতে থাকতেই সে তাদেরকে মেসেজ দিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই রিপ্লাই এল। বড় ভাই বিস্তারিত জানতে চাইল, উত্তরে তারা বলল, আজকে রাত ৮ টায় আপনাদের জন্য একটা ফ্রি অনালাইন সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে জয়েন হন সব কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন, আর সব কিছু ফ্রিতেই শেখানো হবে। বেচারা দেখল বৃহস্পতিবার জ্যামের কারনে কুমিল্লা পৌছাতে অনেক দেরি হবে। কাজেই এই সময়টা কাজে লাগিয়ে দেখি কি হয়। ঠিক রাত ৮ টায় তার মেসেঞ্জারে একটা লিঙ্ক পাঠানো হল। সে সেটাতে ক্লিক করে অনলাইন সেমিনারে জয়েন করল। দেখল প্রায় ২৫০+ বিভিন্ন পেশার নারী পুরুষ সেখানে জয়েন করেছে। একজন লোক খুব স্মার্টলি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেয়া শুরু করল। এর পর সংক্ষিপ্ত পরিচয় পর্ব শুরু হল। দেখা গেল বেশির ভাগ অংশগ্রহণকারী বেকার যুবক যুবতী, স্টুডেন্ট, গৃহিণী, মুদী দোকানদার, আলেম সহ নানা পেশার। প্রবাস থেকেও প্রচুর মানুষ জয়েন শুরু করেছে। সবার একটাই উদ্দেশ্য, ফ্রিল্যান্সিং করে বাড়তি কিছু আয় করা।


মেন্টর ফ্রিল্যান্সিং কি, কিভাবে করে, কিভাবে হাতের মোবাইল দিয়েই ইনকাম করা যায় এই ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলতে লাগল। সে এতটা কনফিডেন্টলি এবং সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলছিল যে, সবাই মন্ত্র মুগ্ধের মত তার কথা শুনছিল। দেখতে দেখতে ১ ঘন্টা পার হয়ে গেল। এই সময়ের মধ্যে কেউ মিটীং থেকে লিভ করেনি, বোঝাই যাচ্ছে তারা ক্লাশ খুব ইনজয় করছে, আরো একটা কারন সব কিছু তাদের কাছে নতুন। এর পরে সেই মেন্টর কিভাবে ইনকাম করা যায় সেই মেথেড দেখানো শুরু করল। সবাই প্রচন্ড আগ্রহ নিয়ে ক্লাশ করতে লাগল। বিষয়টি তেমন জটিল কিছু না। Aliexpress সাইটে যেতে হবে, এর পরে সেখান থেকে ছবি ডাউনলোড করতে হবে, এর পর সেটা কোন একটা সাইটে একাউন্ট খুলে আপলোড দিতে হবে। এর পরে ডেসক্রিপশন কপি করে কোন একটা সাইটে পেস্ট করতে হবে। নতুন করে ডেস্ক্রিপশন রিজেনারেট হবে। সেটা কপি করে সেই আগের সাইটে পেস্ট করে পাবলিশ করতে হবে। এভাবে যত খুশি প্রোডাক্ট আপলোড দেয়া যাবে। এবং সব কিছু মোবাইলেই করা যাবে। সে আরো কিছু টুলসের ব্যাবহার খুব দ্রুত দেখাল। সেই সাইটে ভিজিটর এসে ওই প্রোডাক্টের ইমেজে ক্লিক করলেই অল্প অল্প করে টাকা একাউণ্টে জমা হবে। এবং চাইলে দিনের টাকা দিনেই বিকাশ বা নগদে উঠানো যাবে। মেন্টর ভাই সব কিছু খুব দ্রুত দেখাচ্ছিল, সবাই অনুরোধ করছিল একটু আস্তে আস্তে বলতে, কিন্তু তিনি দ্রুত সব দেখাতে লাগলেন। এর পরে উনার নিজের ইনকামের স্ক্রিনশট দেখালেন, বিকাশ নগদের ট্রানজেকশন দেখালেন। উনার ইনকাম দেখে সবার চোখ কপালে উঠে গেল। এর পরে উনার কিছু সাকসেস স্টূডেন্টদের স্ক্রিনশন দেখালেন। সবাই ইনকামের ব্যাপারে খুবই অনুপ্রাণিত হল, তাদের দিয়েও হয়ত ভাল কিছু হবে।


সেমিনারের এক পর্যায়ে উনি উনার একজন স্টুডেন্টকে দেকে নিয়ে এলেন। সেই স্টূডেন্ট মাত্র আগের সেমিনারে জয়েন করেছিল। এর মধ্যেই সে প্রায় ২০ হাজার টাকা ইনকাম করে ফেলেছে। সেই স্টূডেন্ড তার মেন্টরের খুব প্রশংসা করতে লাগল। সে যে তার লাইফ চেঞ্জ করে দিয়েছে, এই জন্য তার মেন্টরের জন্য মন থেকে দোয়া করে। উপস্থিত অংশগ্রহণকারিরাও তাতে একমত হল। সবার ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে, সবাই ইনকামের মেথেড ক্লিয়ারলি জানতে চাচ্ছে। তখন মেন্টর বলা শুরু করল যে, এই সিক্রেট মেথড বাংলাদেশে উনিই প্রথম নিয়ে এসেছেন। উনার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টেরা এই মেথেড শেখার জন্য ১০০ ডলার করে পে করে। তিনি দেশের বেকারদের জন্য কিছু করতে চান, এই জন্য এই মেথেড নিয়ে এই ক্লাশ নিচ্ছেন। না হলে উনি সব সময় ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের নিয়েই কাজ করেন। মেথেডের ফীর কথা শুনে সবাই হায় হায় করে উঠল। সাকসেস স্টুডেট রিকয়েস্ট করল স্যার এত ফী সবাই দিতে পারবে না। আমার অনুরোধ আপনি দয়া করে কমান। সবাই করজোড়ে ফী কমানোর জন্য অনুরোধ করতে লাগল। মেন্টর ২৫ ডলার ডীসকাউন্ট দিয়ে দিল। কিন্তু তাতেও অনেকের মন গলল না। মেন্টর বলল তাহলে থাক উনার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টেরাই ভাল, চাইলে ২০০ ডলারেও তারা এই কোর্সে রাজি হবে। মেন্টর মিটীং ছেড়ে চলে যেতে চাইলেন, কারন সেমিনারের প্রায় দুই ঘন্টা শেষ হয়ে আসছে। সবাই না না করে উঠল। সাকসেস স্টুডেন্ট সহ অন্যান্যদের বার বার রিকয়েস্টের ফলে মেন্ট্রর দফায় দফায় কোর্স ফী কমাতে কমাতে, সব শেষে মাত্র ২৫ ডলার অর্থাৎ বাংলা টাকায় মাত্র ২৫৫০ টাকা নির্ধারণ করলেন। তখন ক্লাশের দুই ঘন্টা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। মেন্টর একটা নাম্বার দিলেন, এবং মাত্র ৩০ মিনিট সময় দিলেন এর মধ্যে যারা যারা সেই ২৫৫০ টাকা জমা দিয়ে কনফার্ম করবে তাদেরকে নিয়ে তিনি রাত ১০.৩০মিনিট থেকে আরো একটা ১ ঘণ্টার ক্লাশ নেবেন, সেখানে বিস্তারিত সব হাতে কলমে দেখিয়ে দেবেন। এবং এই গ্যারান্টিও দিলেন যে, সেই ক্লাশ করাকালীন সময়ে অনেকেই কমপক্ষে ৯/১০ ডলার ইনকাম করবে। এর কথা বলে মেন্টর বিদায় নিলেন।


আমার বড় ভাই তখন মিটীং এর বিরতিতে আমাকে কল দিয়েছিলেন। মানে তার মত ২০ বছর মার্কেটিংএ চাকরী করা একজন সেলস পারসনও, সেই সেমিনার করে পুরাপুরি কনভিন্সড। উনি আসলে আমার কাছে জানতে চাচ্ছিলেন যে, এই ২৫৫০ টাকা তার জলে যাবে কিনা। আমি আর কি বলব, তাকে এসব করতে না করলাম এবং ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি সেটা বুঝাতে লাগলাম। তার সাথে কথা ফাঁকেই তিনি জানালেন যে ইতিমধ্যে প্রায় ১০০+ স্টূডেট বিকাশ, নগদে টাকা পাঠিয়ে কনফার্ম করেছে। অনেকেই এই মুহূর্তে পুরা টাকা নেই, তাদেরকে আংশিক টাকা নিয়ে বাকী টাকা পরে শোধ করার একটু সুযোগ দেয়া হোক, বলে বার বার রিকইয়েস্ট করছিল। আবার কেউ কেউ এটাকে ভুয়া বলে গালি দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল, যদিও তাদের সংখ্যা খুবই কম। আমি যদি ধরি ২৫০ জনের মধ্যে মাত্র ১০০ জন পে করেছে। তার পরেও এই দুই ঘন্টার একটা সেমিনার করে, সেই মেন্টর প্রায় আড়াই লাখ টাকা ইনকাম করে ফেলেছে। যা হোক উনি আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে লাইন কেটে দিলেন। আমি জানি না উনি আমার কথায় সন্তুষ্ট হয়েছিলেন কিনা। জানি না উনি বিকাশ করেছিলেন কিনা। আমি এই কাহিনী শুনে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। আর মনে মনে হিসাব করতে লাগলাম। এই মেন্টর যদি মাসে এই ধরণের সফল ৪টা করেও সেমিনার করে, তবে তার মাসিক ইনকাম ১০ লাখ টাকা মত। বছরে ১ কোটি টাকার উপর ইনকাম।

আমরা বছরের পর বছর ধরে অনালাইন ফ্রিল্যান্সিং করে কোন ইন্ডিন চুল ছিড়লাম সেটাই ভাবতে লাগলাম 😠 মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমার আব্বা পুলিশে চাকরী করতেন, সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন, ক্রিমিনলজি, আইন নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করতেন। এখনো সেসব বই আমাদের বাসায় আছে, স্টুডেন্ট লাইফে আমিও সেসব বই পড়তাম। তাই স্কামার বা বাটপাড়দের ব্যাপারে কিছু কিছু আইডীয়া আছে। আমার মতে একজন সফল বাটপাড় বা স্কামার হতে হলে মাত্র দুইটি গুন থাকতে হবে ১. খুব সুন্দর করে গুছিয়ে, আত্মবিশ্বাসের সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা জানতে হবে। ২. চুড়ান্ত বেহায়া হতে হবে, অবলীলায় অনর্গল মিথ্যা কথা বলে যেতে হবে, যেন কেউ সহজে ধরতে না পরে। মাত্র এই দুইটী গুন থাকলে, যে কেউ সফল বাটপাড় বা স্কামার হতে পারবে এবং যে কোন সেক্টরে সে বাটপাড়ী করে ইনকাম করতে পারবে। আপনারা হয়ত বলতে পারেন এভাবে কতদিন চলবে? ধরাত পরতেই হবে, ধরা তারা প্রায়ই পরে, কিন্তু আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি, ফ্রড কেসের আইন খুবই দুর্বল, একজন বাটপাড়কে বড়জোর ১ সপ্তাহ জেলে আটকে রাখা যায়। এর পরে জামিনে বের হয়ে আবার সেই একই কাজ করে। আর শক্ত করে মামলা দিলে বড়জোর মাস খানেক আটক রাখা যায়। এরা এতটাই এডভান্স যে, বড় বড় উকিলকে আগাম টাকা দিয়ে রাখে, মামলার জন্য। সাংবাদিক পুলিশদের কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় এরা এটা খুব ভাল করে জানে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বড় বড় স্কামারদের একটারো ইন্ডিন চুল আমরা ছিড়তে পারিনি। তারা বহাল তবিয়তে বছরের পর বছর ধরে, একই কাজ করে যাচ্ছে।


যা হোক আমি কিন্তু আমার কথা রেখেছি, কিভাবে মাত্র ২ ঘন্টায় আড়াই লাখ টাকা ইনকাম করা যায়, তার মেথড আমি সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছি। কাজেই কেউ আমাকে দোষ দিতে পারবেন না। এখন নীতি নৈতিকতাকে যদি আপনি বাক্সবন্দী করে শোকেসে রেখে, এই মেথড ফলও করেন, তবে অবশ্যই আপনিও ২ ঘন্টায় আড়াই লাখা টাকা মানে বছরে কোটি টাকা ইনকাম করতে পারবেন নিঃসন্দেহে। কথা আর বাড়ালাম না। পোষ্টের ইতি এখানেই টনলাম।
ধন্যবাদ!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *